টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার

আজকের আলোচ্য বিষয় টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার। মানুষের শরীরে দুইটি টনসিল রয়েছে। গলার প্রতিটি পাশে একটি করে মোট দুটি। টনসিল ইনফেকশন হলে কি কি সমস্যা হতে পারে।টনসিল কিভাবে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে।
টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা। প্রিয় পাঠক, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ-চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার

  • প্রথম অংশ
  • টনসিল কেন হয়
  • টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ
  • টনসিল ক্যান্সারের কারণ
  • টনসিলের ইনফেকশন ওষুধ
  • টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
  • শেষের অংশ

প্রথম অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার। আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, টনসিল কেন হয়। টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ। টনসিল ক্যান্সারের কারণ। টনসিলের ইনফেকশন ওষুধ। টনসিল পেকে গেলে করণীয় উপায় এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

টনসিল কেন হয়

টনসিল সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস সংক্রমণ দ্বারা হয়ে থাকে। যার ফলে গলায় ফোলা ভাব ও ব্যথা হয়ে থাকে। টনসিল প্রাথমিকভাবে অ্যাডেনো ভাইরাস বা এপস্টাইন ভাইরাস। এটি মানুষের মুখের লালা হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছাড়ায়। ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস সংক্রমণ বিশেষ করে সাইট্রোক্স পাইজেনেস টনসিল সংক্রমণে আধিক ভুমিকা পালন করে। আর এই সমস্ত প্যাথোজেনগুলি শ্বাসযন্ত্রের ফোটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং দুর্বল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম তাদের মধ্যে এই সংক্রমণটি হওয়ার ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।

টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ

শীতকাল আসলেই বেড়ে যায় টনসিল ইনফেকশন। ইনফেকশনটি শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। বড়দের মধ্যে একটি সচরাচর কম দেখা যায়। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থেকেও হয়ে থাকে। নিম্নে টনসিল ইনফেকশনের কিছু লক্ষণ দেওয়া হলঃ

১। প্রথমত মাঝারি থেকে তীব্র জ্বর হতে পারে। ২। গলা ব্যথা, খাবার গিলতে সমস্যা, খাবারে অনীহা, বমি বমি ভাব ৩। মুখে দূর গন্ধ হওয়া ৪। মুখ থেকে লালা ঝরা ৫। গলার স্বরে পরিবর্তন অর্থাৎ গলার স্বর একটু মোটা হওয়া ৬। টনসিল বেশি বড় হয়ে গেলে শ্বাস নিতে কষ্ট ও হতে পারে।
এছাড়াও টনসিল ইনফেকশন বেড়ে গেলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। টনসিলের ফোলা বেড়ে গেলে সাথে সাথে চিকিৎসা করতে হবে। নইলে টনসিল ইনফেকশন ফোঁড়া ফেটে পুজ ও বের হতে পারে।

টনসিল ক্যান্সারের কারণ

একটি পরিচিত শব্দ একে টনসিল লিম্ফোমা বা টনসিল কার্সিনোমা নামে পরিচিত। টনসিল শরীরের হিমাউন সিস্টেমের অংশ এবং লিম্ফয়েড টিস্যু দিয়ে গঠিত। টনসিল ক্যান্সার হতে পারে দুটি টনসিলের যেকোনো একটিতে। যে সকল কারণে টনসিল ক্যান্সার হতে পারে। নিম্নে তা দেয়া হলোঃ

১। টনসিল ক্যান্সার হতে পারে পারিবারিক সূত্রে বা পৈত্রিক সূত্রে পরিবারের কারো যদি পূর্বে টনসিল ক্যানসার থেকে থাকে তাহলে পরবর্তীতে তার বংশের কারো হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
২।টনসিল ক্যান্সার সাধারণত মহিলাদের চাইতে পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে তবে এটি ৪০ বছরের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুরুষরা বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল বা নেশা দ্রব্য পান করার কারণে টনসিল ক্যান্সারের মত রোগের ঝুঁকিতে থাকেন ।

৩। তামাক ও অ্যালকোহলে ভারী এবং দীর্ঘায়িত ব্যবহার টনসিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ৪। এইচপিপি ভাইরাস অর্থাৎ হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এইচটিপি ভাইরাসের কিছু স্টোর রয়েছে বিশেষ করে এইচপিভি 16, এই ভাইরাসটি টনসিল ক্যান্সারের বিকাশের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

টনসিলের ইনফেকশন ওষুধ

সাধারণত এন্টিবায়োটিক ওয়াস ব্যথার ওষুধ, এন্টিহিস্টামিন ও প্রচুর পরিমাণে পানিপানের উপদেশের মাধ্যমে টনসিল ইনফেকশন চিকিৎসা করা হয়। টনসিল বা ইনফেকশন ভালো হতে পারে এমন ওষুধের নাম নিম্নে দেওয়া হলোঃ

(E Fix 100 MG Tablet)। ই ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিনষ্ট করতে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এই ওষুধটি টনসিল ইনফেকশন দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

টনসিল একটি ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস। মানুষের শরীরে দুই পাশে দুইটি টনসিল রয়েছে। আর যখন টনসিল ইনফেকশন হয় তখন নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়। অনেক কিছু খাওয়া যায় না খেতে গেলে ব্যথা অনুভব হয়। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে টনসিল ইনফেকশন আরো বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্ত খাবারগুলি নিম্নে দেয়া হলোঃ.

১।অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে টনসিল বাড়িয়ে দিতে পারে।
২। বিভিন্ন ধরনের কমল ঠান্ডা পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ঠান্ডা জাতীয় পানীয় পান করলে টনসিল ইনফেকশন বেরিয়ে যেতে পারে।
৩। টক জাতীয় খাবার কোনোমতেই খাওয়া যাবে না। টক জাতীয় খাবার খেলে টনসিলের ফোলা ও ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
৪। অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
৫। অ্যালকোহল আছে এমন খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

শেষের অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ- চিকিৎসা ও প্রতিকার উপরিউক্ত আলোচনায় আমি সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।টনসিল কেন হয়।টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ। টনসিল ক্যান্সারের কারণ।টনসিলের ইনফেকশন ওষুধ টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য (অসংখ্য ধন্যবাদ)

নিত্য নতুন এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট পেতে ওয়েবসাইটের এবং আমার এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url