রোজা রাখার নিয়ম ও কাজা রোজা রাখার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয় রোজা রাখার নিয়ম ও কাজা রোজা রাখার নিয়ম। রোজা কিভাবে রাখতে হয়। কিভাবে রোজা রাখলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদে কি বলেছেন, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক, রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ রোজা রাখার নিয়ম ও কাজা রোজা রাখার নিয়ম
- ভূমিকা
- রোজা কি এবং কেন রাখতে হয়
- রোজার প্রকারভেদ
- রোজা রাখার নিয়ম
- কাজা রোজা রাখার নিয়ম
- রোজার গুরুত্ব
- রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত
- শেষের অংশ
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় রোজা রাখার নিয়ম। আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে। রোজা কি এবং কেন রাখতে হয়? রোজা সম্পর্কে আলোচনা, রোজা রাখার নিয়ম, রোজা রাখার নিয়ত, কাজা রোজা রাখার নিয়ম। রোজার গুরুত্ব। রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এবং পড়তে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রোজা কি এবং কেন রাখতে হয়
রোজা শব্দটি ফারসি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে উপবাস। আরবিতে ইসলামী উপবাসের নাম সাওম। সাওম শব্দের বহুবচন হচ্ছে সিয়াম যার অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা।অর্থাৎ রোজা হচ্ছে সুবহে সাদিক বা ভোরের আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার, সমস্ত রকমের পাপাচার আবার সেই সাথে যাবতীয় ভোগ বিলাস থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে।
রোজা কেন রাখতে হয়? আমরা জীবনে চলতে গেলে অনেক রকমের ভুল করে থাকি আর এই সমস্ত ভুলের কারণেই আমাদের পাপের বোঝা ভারী হয়। আর রোজা এই সমস্ত পাপ ধ্বংস করতে ঢালের মত কাজ করে যা গুনাহের হাত থেকে বাঁচায়। এই সম্বন্ধে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে।
যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। তাকওয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে রক্ষা করা। আবার এই তাকওয়া শব্দের অনুবাদ করা হয়েছে নানা ভাবে, যেমন আল্লাহর ভয়, পরহেজগারী, দ্বীনদারী সৎকর্মশীল সর্তকতা প্রভৃতি। অর্থাৎ রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো মানুষের সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের যত রকমের কামনা বাসনা সবকিছু পরিত্যাগ করা ।
রোজার প্রকারভেদ
আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছে তার ইবাদতের জন্য। ত্রিভুবনে যা কিছু হয় সবকিছুই তার ইশারায় । রোজা ইসলামের তৃতীয় ফরজ বিধান। রোজা রাখা বা না রাখার দিক দিয়ে রোজা কে মোট সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১।ফরজ রোজা
ফরজ রোজাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে,১। রমজান মাসের রোজা ২।কোন কারনে রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে কাজা রোজা ৩। কোন কারণ ব্যতীত রোজা ছেড়ে দিলে ৬০ টি রোজা রাখা ৪। রোজার মান্নত আদায় করা
২।ওয়াজিব রোজা
ওয়াজিব রোজা বলা হয় নফল রোজা কে। কোন কারণবশত নফল রোজা ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা পুনরাই আদায় করা ওয়াজিব।
৩।সুন্নত রোজা
গ্যাপ গ্যাপ দিয়ে রোজা রাখা কে সুন্নত রোজা বলে। যেমন মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখ রোজা রাখা।
৪।মুস্তাহাব রোজা
শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক ভাবে প্রতি সপ্তাহে দুটি করে মোট ছয়টি রোজা রাখাকে মুস্তাহাব বলে
৫।নফল রোজা
ফরজ ওয়াজিব সুন্নত এমন ইবাদতকে নফল রোজা বলে যা করলে সওয়াব আছে কিন্তু না করলে পাপ নেই। অর্থাৎ পণ্যের আশায় যে রোজা রাখা হয় তাকে নফল রোজা বলে।
৬।মাখরূহ রোজা
মাখরূহ রোজা হচ্ছে বছরের প্রত্যেকটা দিন মানে বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৫ দিনের রোজা রাখাকে মাখরূহ রোজা বলা হয়।
৭। হারাম রোজা
বছরের ছয় টি দিন রোজা রাখা হারাম। জিলহজ মাসের ৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ তারিখ ও ঈদুল ফিতরের দিন রোজা রাখা হারাম।
রোজা রাখার নিয়ম
প্রতিটা কাজের যেমন, সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে তেমনি রোজা রাখারও কিছু নিয়ম রয়েছে। রোজার নিয়মের কথা মহান রাব্বুল আলামিন কুরআনে মাজিদে সুন্দরভাবে উল্লেখ করে রেখেছেন। ইসলামের আওতায় যেকোনো আমল করার একমাত্র পথ হল পবিত্র কোরআনের নির্দেশ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথ।
মনগড়া বা ইচ্ছা মতো রোজা রাখলে যেমন রোজা হয় না। তেমনি পবিত্র কোরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথ ছাড়া রোজা আদায় করলে রোজা হয় না। ইসলামের অন্যান্য ফরজ সুন্নত, নফল ইত্যাদি আমলের মত রোজা রাখার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে।এর মধ্যে কিছু নিয়মকানুন নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১।রোজার নিয়ত করা
রোজা করার নিয়ত আগে থেকেই করে রাখা উত্তম।কারণ হাদিস শরীফে এই সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজার নিয়ত করবে না তার রোজা সম্পূর্ণ হবে না। কোন কারণবশত আগে থেকে নিয়ত করে না রাখতে পারলে দিনে সূর্য ডলার প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা আগে নিয়ত করলেও রোজা সম্পূর্ণ হবে।
২। সাহরি খাওয়া
রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। এক্ষেত্রে আপনি যেভাবে খুশি খেতে পারেন। সামান্য হতে পারে আবার বেশি খেলেও কোন সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে সেহরি খাওয়ার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে।হাদিসে আরও বর্ণিত রয়েছে যে, সেহেরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ সুতরাং তোমরা তা কখনোই পরিত্যাগ বা পরিহার করো না। সামান্য পরিমাণ পানি হলেও সেহরি করো। কারণ যারা সেহেরী করে তাদের উপর আল্লাহ বরকত নাযিল করেন। ফেরেশতাগণ তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।
৩।দেরি করে সেহরি খাওয়া
এ সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ইফতার তাড়াতাড়ি করতে, এবং সেহরি শেষ সময় বা দেরি করে খেতে।হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেনঃ আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সেহরি খেয়েছি।এতঃপর তিনি নামাজে দাঁড়ালেন। হযরত আনাস জিজ্ঞেস করলেন আযান ও সেহরির মধ্যে কতটুকু সময়ের পার্থক্য ছিল? হযরত যায়েদ বললেন ৫০টি আয়াত পরিমাণ।
৪।তাড়াতাড়ি ইফতার করা
হাদীস শরীফে রোজার সমাপ্তিতে দ্রুততার সাথে ইফতার করার নির্দেশ দেওয়া আছে। দেরি না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করা মুস্তাহাব। হরযত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে ,মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যতদিন মানুষ দেরি না করে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।এ সম্পর্কে অন্য আরেকটি হাদিসে বর্ণনা করেছেন হযরত আবু হুরাইয়া রাদিয়াল্লাহ আনহু তিনি বলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যতদিন মানুষ সময় হওয়া মাত্র ইফতার করবে ততদিন দিন বিজয়ী থাকবে। কেননা ইহুদী ও খ্রিস্টানরা ইফতারে দেরি করে।
৫।ইফতারের দোয়া
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এই সময় যত বেশি পারেন দোয়া করবেন। ইফতার শুরুর আগে দোয়াঃ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলারিসকিকা আফতারতু।এর অর্থ হলো হে আল্লাহ আমি আপনার জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করছি।
কাজা রোজা রাখার নিয়ম?
প্রত্যেকটা নর-নারী প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলমানের উপর রোজা রাখা ফরজ। কোন কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ছেড়ে দিলে কবিরা গুনা হয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি কারণবশত বা অসুস্থতা ছাড়া রোজা ভেঙে দেয়। তার ওই রোজার বিনিময়ে সারা জীবনের রোজা ও রমজানের একটি রোজার সমমর্যাদা হয় না।
মহানবী (সাঃ) বলেন কাজা রোজা যতদিন না আদায় করছে ততদিন কোন নফল রোজা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই পরবর্তী রমজান আসার আগে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রমজানের কাজা রোজা আদায় করতে হবে। এতঃপর শাওয়ালের ছয় রোজার মতো অন্যান্য রোজা আদায় করতে পারবে। বছরের যে কোন দিন কাজা রোজা আদায় করা যায় তবে ঈদের দিন নিষিদ্ধ আছে।
রোজার গুরুত্ব?
মহান আল্লাহ তায়ালা রোজা সম্পর্কে কোরআন মাজীদে (সূরা বাকারার ১৮৩) নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেছেন, হে ঈমানদারগণ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের মতো তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়া অধিকারী হতে পারো। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেলে অথচ নিজের গুনাহ মাফ করতে পারল না সেই ব্যক্তি ধ্বংস হোক।
তিনি আরো বলেন বিনা কারণে রমজান সিয়াম ত্যাগকারী কাফির। যে ব্যক্তি কোন কারণ ছাড়া রমজান মাসের একটি রোজা ও ছেড়ে দিবে সে যদি সারা বছর সিয়াম পালন করে তবুও তার পাপের খেসারত পাবে না। এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন গুনাহ হতে বাঁচার জন্য রোজা ঢাল স্বরূপ। রোজা অবস্থায় কোন রকম অশ্লীল কথা বা জাহেলি আচরণ করা যাবে না।
কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে আগ্রহী হলে বা গালমন্দ করলে সে তাকে দুইবার বলবে আমি রোজাদার। তিনি আরো বলেন যার হাতে আমার জীবন সেই সত্তার শপথ রোজাদারের মুখের গন্ধ মহান আল্লাহর নিকট অতি সুগন্ধ ও অতি উত্তম। আল্লাহ বলেন রোজাদার খাদ্য পানীয় কামভাব পরিত্যাগ করে আমার উদ্দেশ্যে রোজা রাখে সুতরাং আমি তাকে বিশেষভাবে রোজার পুরস্কার দান করব।
রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত?
রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বেশ কিছু স্থানে রোজার আলোচনা করেছেন নিম্নে তা দেওয়া হলোঃ
১ । রমজানে রোজা ফরজ
মহান আল্লাহ প্রত্যেক সুস্থ মুসলিম নর-নারীর ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। এ সম্পর্কে কোরআনে এসেছে হে মুমিনরা তোমাদের উপর রোজা কে ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর।
২।অসুস্থ ব্যক্তির রোজার বিধান
পবিত্র কোরআনে অসুস্থ ব্যক্তির রোজার বিধান হলোঃ রোজা নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ অসস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময়ের রোজা করে তা পূরণ করে নিতে পারবে।
৩। কোরআন নাজমের মাস রমজান
মহান আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে পবিত্র কুরআন মাজিদ নাযিল করেন। এর সম্পর্কে দলিল রয়েছে এরকম, রমজান মাস এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথে স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যের পার্থককারী রূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
৪। রোজার সময়সীমা
কতটুকু সময় রোজা রাখতে হবে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজীদে বলে দিয়েছেন, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, কামাচার, পাপাচার ও সেই সাথে যাবতীয় ভক্তি আসো অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নামই সাওম বা রোজা। অর্থাৎ সেহরি খাওয়ার পর থেকে সূর্য ডুবার পর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারিত করেছে।
কোন কোন দিন রোজা রাখা ভালো?
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রোজা রাখা। রমজান মাস ছাড়াও প্রতিমাসের রোজার বিধান আছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক মাসের সপ্তাহে দুইদিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামকে এই দুই দিন রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। কারণ এই দুই দিন আল্লাহর কাছে বান্দার আমলনামা পেশ করা হয়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল রোজা রাখার নিয়ত। কিভাবে রোজা রাখা হয়। রোজা রাখার বিধান কোন কোন দিন রোজা রাখলে ভালো হয়। রোজার ফজিলত। রোজা সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছেন। রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে কি বলে গেছেন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এই সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। (ধন্যবাদ)
প্রিয় পাঠক, নিত্য নতুন এরকম আরো পোস্ট পেতে পাশে থাকা (গুগল নিউজটি) ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url