চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা-জীবনবৃত্তান্ত
চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষেরা চা খায়। মানুষের যেন নিত্যদিনের সাথী হয়ে উঠেছে চা। পাড়ার দোকানের মোড়ে বন্ধুদের আড্ডায় এক কাপ চায়ের তুলনা নেই। চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে চা পাতা উৎপন্ন হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানব। চায়ের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


সূচিপত্রঃ চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা-জীবনবৃত্তান্ত
- ভূমিকা
- চায়ের উপকারিতা
- চায়ের অপকারিতা
- রং চায়ের উপকারিতা
- চিনি ছাড়া চা খাওয়ার উপকারিতা
- গ্রিনটি এর উপকারিতা
- মাথা ব্যথা কমাতে চা
- শেষ কথা
ভূমিকা
বাংলাদেশের অর্থকারি ফসল চা। এটি বাংলাদেশের সিলেট জেলার পার্বত পাহাড় অঞ্চলে উৎপান্ন হয়। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানব চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতার প্রথম অংশ যা যা থাকছে রং চায়ের উপকারিতা, চিনি ছাড়া চায়ের উপকারিতা, চা কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ইত্যাদি এই সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।
চায়ের উপকারিতা
ক্লান্তি ও অসস্তি দূর করতে এক কাপ চায়ের জুড়িমেলা ভার। এছাড়াও 'চা' তে রয়েছে এপিগ্যালোক্যাটেচিন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা কার্যকর হয় এন টি অক্সিডেন্ট নামে। এটি ভিটামিন সি এর চেয়ে ১০০ গুন বেশি ফলদায়ক। আর এজন্যই চা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকার। চা ওজন নিইয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ছাড়া ও তুলসি চা আদা চা লেবু চা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে
ক্যাফেইন
কফির তুলনায় চায়ে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকে যার কারণে চা পান করলে সেরকম ক্ষতি হয় না। তবে অতিরিক্ত চা খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত চা খেলে ঘুম না হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে চা
চা তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। একাধিক বিজ্ঞানী গবেষণায় প্রমাণিত একথা যে, গ্রিনটিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়।
হার্ট ভালো রাখে চা
সাধারণত গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি চা আপনার শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও লিকার চা তে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম যাহারতে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
চায়ের অপকারিতা
সব জিনিসের যেমন উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও আছে তেমনি চায়ের ও অপকারিতাও আছে। চা মানুষের জন্য উপকারি হলেও এর কিছু অপকারিতা আছে। চা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হলেও চা তে রয়েছে ক্যাফেইন নামক এক ধরনের পদার্থ।
এক কাপ চা তে রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে, ঘুম কম হতে পারে হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে চা খাওয়া যাবে না। এছাড়াও চায়ে টেনিন নামের একটি যৌগ পাওয়া যায়। এটি শরীরের আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
রং চায়ের উপকারিতা
আমরা সব কম বেশি সবাই জানি , আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। বলা হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দেহের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন রং চা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। রং চা রক্তনালী প্রসারণ ঘটায়। রক্তনালী প্রসারণ রূপ উচ্চ রক্তচাপর হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরী। রং চাতে থাকা ক্যাটেচিন রক্তনালীর প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চিনি ছাড়া লাল চা খাওয়ার উপকারিতা
তিনি ছাড়া লাল চা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না খেলে দিনটা ঠিক ভালো যায় না। জানেন কি চিনি ছাড়া লাল চা খাওয়া কতটা উপকারী। চিনি ছাড়া লাল চা খেলে এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। লাল চাতে রয়েছে ক্যাফেইন,কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,গুয়ামিন ,ট্যানিন এ ভরপুর লাল চা। এছাড়াও চিনি ছাড়া লাল চা হজম শক্তি বাড়ায় । ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে, হার্ট ভালো রাখতে,ব্রেনের ক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গ্রিনটি এর উপকারিতা
বর্তমানে গ্রিন টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ওজন কমানোর গুণের কারণে। গবেষণা দেখা গেছে একদিনে ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত ফ্যাট কমাতে পারে ।এটি অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি রূপচর্চা করতেও কাজে লাগে।। গ্রিন টি দুইটি প্যাক দেড় ঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে চোখের উপর রাখুন।এতে করে চোখের ফোলা এবং ডার্ক সার্কেল কমে যাবে।
মাথা ব্যথা কমাতে চা
ঘনঘন মাথা ধরে তাহলে সাধারণ চায়ের বদলে খেতে পারেন ভেষজ চা। মাথা মাথা ব্যথা কমাতে ভেষজ চায়ের উপকারিতা অনেক। সাধারণত আদা চা, তুলসী চা, পুদিনা চা, লেবু চা ইত্যাদি কে ভেষজ চা বলা হয়।
এবার জানব ভেষজ চায়ের উপকারিতা সম্পর্কেঃ
আদা চাঃ
আদা চা হজম শক্তি বাড়াতে ও মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
তুলসী চাঃ
আদা চায়ের মত তুলসী চাওয়া মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও সর্দি-কাশি উপশম
করে থাকে।পুদিনা চাঃ
পুদিনা চা মাথা ব্যাথা কমানোর পাশাপাশি, গ্যাসের সমস্যা,ট্রেস কমাতে পুদিনা চায়ের তুলানো হয় না।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা শেষ নেই। সব জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি রয়েছে উপকারিতা চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলে চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আর্টিকেল পড়ার জন্য অসংখ্য (ধন্যবাদ)।নিত্যনতুন এইরকম জীবন বৃত্তান্ত আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। আর হ্যাঁ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url